নারীদের জন্য ডাক্তারি (চিকিৎসাশাস্ত্র) পড়াশোনার বিধান কি?

মহিলাঙ্গন

নারীদের জন্য ডাক্তারি (চিকিৎসাশাস্ত্র) পড়াশোনার বিধান কি?

প্রশ্নঃ কোন মেয়ে যদি ডাক্তার হতে চায়, তাহলে তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামের দিক দিয়ে কতটা যুক্তিসংগত? কারণ এখানে সাধারণত নারী-পুরুষ একত্রে পড়াশোনা করে; বিভিন্ন সময় পুরুষ রোগীর শরীরে স্পর্শ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়; কখনও-কখনও বিভিন্ন পরীক্ষায় নিকাব ছাড়া যেতে হয়।
image_pdfimage_print

পূর্বসূরিদের ফিকহের কিতাবগুলোতে মেয়েদের চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা দেয়াকে জরুরী বলা হয়েছে। অন্তত প্রয়োজন পূরণে সামর্থ্য হয় পরিমাণ মেয়েদের ডাক্তার হওয়া জরুরী। বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলা সাহাবীগণ, আহতদের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। সুতরাং মেয়েদের একাংশের ডাক্তারি পড়া জরুরী। কিন্তু আমাদের দেশের সহশিক্ষা ও অন্যান্য না-জায়েজ কাজ বিদ্যমান থাকায়, জরুরী ব্যপারটিও ফিতনার উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সহশিক্ষা নেই এমন প্রতিষ্ঠানে (নারীদের জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে) পড়ার চেষ্টা করবে। একান্ত সহশিক্ষা আছে এমন জায়গায় পড়তে হলে পর্দার ফরয রক্ষা করে চলবে। কর্কশ স্বরে স্রেফ প্রয়োজনীয় কথা বলবে। পুরুষদের সাথে মিশবে না। তাদের প্রশ্রয়ও দেবে না। পুরুষ রোগীর গায়ে হাত দিতে হলে গ্লোভস পরে হাত দিবে। ইত্যাদি বিষয়গুলোতে ইসলামী বিধান মেনে চলতে সচেষ্ট হবে। আর পাশাপাশি ইস্তেগফার করতে থাকবে।

রাদ্দুল মুখতার- ৬/৩৭১
আলজাউহারাহ- ২/৩৮৫
বাদায়ে- ৫/১২৪
আবী সাউদ- ২/৪২৭
কাররাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, জেদ্দা- ৪১